জামিয়া কাশিফুল উলুম ঢাকা এর বৈশিষ্ট্য ও আদর্শ

  • সর্বশেষ আপডেট হয়েছে: ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২২

জামিয়া কাশিফুল উলুম ঢাকা এর বৈশিষ্ট্য ও আদর্শ
১. ইলমে ওহীর চর্চায় সীরাতে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও সাহাবায়ে কেরাম [রাযি.]-এর পদাঙ্ক অনুসরণ করে পথচলা।
২. কওমি মাদরাসার আদর্শ-উদ্দেশ্য ও লক্ষ্যকে আঁকড়ে ধরে পথচলার বাস্তবমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করা। আকাবির-আসলাফের পদ্ধতিতে মাদরাসা পরিচালনা, ইলমী, আমলী চিন্তা-দর্শন ও আদর্শ অনুসরণ করা।
৩. আমলকে পুরা করে ইলম চর্চা করা। আমলি হাজিরার পাবন্দি ও সুন্নতের নিখাদ অনুশীলন এবং যুগোপযোগী সিলেবাস এর মাধ্যমে ছাত্রদের যোগ্য আলেম হিসাবে গড়ে তুলা। 
৪. মাদরাসার ছাত্র-শিক্ষকের মাঝে বাস্তবমুখী দাওয়াতী মেজাজ ও উম্মাহর ফিকির তৈরি করে ইলমওয়ালা দাঈ হিসেবে গড়ে তোলা।
৫. মাদরাসার ছাত্র-শিক্ষকদের মাঝে বাস্তবমুখী আমলী জিন্দেগী, সুন্নাতের পাবন্দী, আখলাকের উন্নতি, মুআমালাতের পবিত্রতা, মুআশারাতের সৌন্দর্য সৃষ্টি করে একজন তাকওয়াবান আলেম হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা চালানো।
৬. ছাত্রদের সীরাত ও সুন্নাহ ভিত্তিক সহীহ তালীম ও তরবিয়ত করা। বেত্রাঘাত ও শারীরিক মারধর মুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। উন্নত শীরয়াহ ও তাকওয়া ভিত্তিক আবাসন ও খাবার ব্যাবস্থা।
৭. ছোটকাল থেকেই তালীম-তরবিয়তের সাথে বিশ্বমানের দাঈ হিসেবে গড়ে তোলার বাস্তবমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করা এবং আমানতের সাথে ছাত্র ও শিক্ষকের জান, মাল ও সময়ের সহীহ ব্যবহার শিক্ষা দেওয়া।
৮. মাদরাসা সম্পূর্ণ রাজনীতির প্রভাব থেকে মুক্ত থাকবে।আদর্শ নাগরিক তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করা। দেশের সকল আইনের প্রতি যত্নবান ও শ্রদ্ধাশীল থাকা। দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধকরণ ও মাতৃভূমির অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে ছাত্রদের গড়ে তোলা।
৯. ছোটকাল থেকেই ছাত্রদেরকে আল্লাহমুখী হয়ে পথচলার বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া। মাখলুকের দ্বারস্থ হওয়া ও চাঁদা সংগ্রহের মনোভাব থেকে শিক্ষার্থীদের নিরুৎসাহিত করা।সদকা, জাকাত ফিতরা ও কালেকশন মুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। 
১০. মিছিল-মিটিং সহ কোন রাজনৈতিক কর্মসূচিতে ছাত্র-শিক্ষকদের ব্যবহার না করা। শিক্ষা, গবেষণা, দাওয়াহ ও ঈমানী কার্যক্রমে সীমাবদ্ধ থাকা।
১১.কারিগরি শিক্ষার মাধ্যমে কর্মট ও দক্ষ আলেম জনশক্তি তৈরী করা। যারা দাওয়া তালিম তিজারাত নিয়ে উমম্মতের ময়দানে চলতে পারবেন।
১২. দেওবন্দিয়তের উপর পূর্ণ আস্থা রেখে দারুল উলূম দেওবন্দের মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য তথা সাহাবা-আদর্শের দিকে ফিরে যাওয়া।

 

 বৈশিষ্ট্যাবলী
    ঈমানী মেহনতের সাথে ইলম চর্চা করা। 
    তাআল্লুক মাআল্লাহর সাথে উলামায়ে আখেরাত তৈরি করা। 
    ইত্তেবায়ে সুন্নতের নিখাঁদ পাবন্দী, তাকওয়ার উপর চলা।
    র্সবাবস্থায় তাহকীক এর উপর জমা ও তাওয়াক্কুলের সাথে থাকা। 
    বাহ্যিক ও হাকীকত ত্বহারত বা পবিত্রতার সাথে চলা এবং রক্তকে পবিত্র রাখা। 
    দাওয়াত ও ইবাদতের পাশাপাশি খেদমতে খলক (সৃষ্টির সেবা) এর মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন।
    উন্নত পরিবেশ, শরিয়াহ ও তাকওয়া ভিত্তিক আবাসন ব্যবস্থা ।
     স্বাস্থ্যসম্মত খাবার ব্যবস্থা, সম্পূন্ন সদকা জাকাত ফিতরা ও কালেকশন মুক্ত প্রতিষ্ঠান। 
    নিয়মিত শরীরচর্চা ও চিকিৎসা চেকাপ ও স্বাস্থ্য সচেতনতা তৈরি। 
    আধ্যাত্মিক , শারীরিক ও মানসিক বিকাশ সাধন। 
    ধারাবাহিক একজন শিক্ষক আল্লাহর রাস্তায় খুরুজে থেকে দুআ, আমাল ও ফিকির করবেন।
    আরবী ও ইংরেজী ভাষায় দক্ষতা ও বাস্তব কথাকোপথন এর অনুশিলন থাকবে।
    বিশুদ্ধ বাংলা ভাষায় কথা বলা।
    চলাফেরা সবকিছু হতে হবে সর্বোচ্চ বিনয়ী, নম্র ও সুন্নত অনুযায়ী।
    জীবনের সর্বক্ষেত্রে সীরাত ও সুন্নতের অনুশীলন ।
    সবাবস্থায় মাসনুন দু‘আর সর্বক্ষণিক এহতেমাম করতে হবে।
    সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে মেধার উৎকর্ষ সাধন ও প্রতিভার বিকাশ ঘটানো। 
    মাদরাসা সম্পূর্ণ রাজনীতির প্রভাব থেকে মুক্ত থাকবে। 
    আদর্শ নাগরিক তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করা। 
    দেশের সকল আইনের প্রতি যত্নবান ও শ্রদ্ধাশীল থাকা। 
    দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধকরণ ও মাতৃভূমির অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে ছাত্রদের গড়ে তোলা। 
    ছোটকাল থেকেই ছাত্রদেরকে আল্লাহমুখী হয়ে পথচলার বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান। 
    মাখলুকের দ্বারস্থ হওয়া ও চাঁদা সংগ্রহের মনোভাব থেকে শিক্ষার্থীদের বিরত রাখা। 
    সদকা, যাকাত, ফিতরা ও কালেকশনমুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। 
     হালাল খাবার ভক্ষণ করে ইলম হাসিল করা। 
    আমানতদারী ও সততার সাথে চলা। 
    গীবত, শেকায়াত, পরনিন্দা থেকে বেঁেচ থাকা। 
    উম্মতের জান, মাল, ইজ্জত, আব্রুর হেফাজত করা। 
    অন্য মুসলমানকে নিজের চাইতে বড় মনে করা। 
    ইলমকে উম্মতের হেদায়াতের জন্য ব্যবহার করা। 
    খালিকের এবাদত ও মাখলুকের খেদমত (সৃষ্টির সেবা) করা। 
    পরিশ্রমের মাধ্যমে হালাল রিজিক ভক্ষণ করা ও সৃষ্টির সেবায় তা ব্যয় করা। 
    নিয়মিত শিক্ষক প্রশিক্ষণ। 
    মজলিসে ইলমি। 
    ইসলাহী মজলিসের আয়োজন।