জামিয়া কাশিফুল উলুম ঢাকা এর বৈশিষ্ট্য ও আদর্শ
১. ইলমে ওহীর চর্চায় সীরাতে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও সাহাবায়ে কেরাম [রাযি.]-এর পদাঙ্ক অনুসরণ করে পথচলা।
২. কওমি মাদরাসার আদর্শ-উদ্দেশ্য ও লক্ষ্যকে আঁকড়ে ধরে পথচলার বাস্তবমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করা। আকাবির-আসলাফের পদ্ধতিতে মাদরাসা পরিচালনা, ইলমী, আমলী চিন্তা-দর্শন ও আদর্শ অনুসরণ করা।
৩. আমলকে পুরা করে ইলম চর্চা করা। আমলি হাজিরার পাবন্দি ও সুন্নতের নিখাদ অনুশীলন এবং যুগোপযোগী সিলেবাস এর মাধ্যমে ছাত্রদের যোগ্য আলেম হিসাবে গড়ে তুলা।
৪. মাদরাসার ছাত্র-শিক্ষকের মাঝে বাস্তবমুখী দাওয়াতী মেজাজ ও উম্মাহর ফিকির তৈরি করে ইলমওয়ালা দাঈ হিসেবে গড়ে তোলা।
৫. মাদরাসার ছাত্র-শিক্ষকদের মাঝে বাস্তবমুখী আমলী জিন্দেগী, সুন্নাতের পাবন্দী, আখলাকের উন্নতি, মুআমালাতের পবিত্রতা, মুআশারাতের সৌন্দর্য সৃষ্টি করে একজন তাকওয়াবান আলেম হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা চালানো।
৬. ছাত্রদের সীরাত ও সুন্নাহ ভিত্তিক সহীহ তালীম ও তরবিয়ত করা। বেত্রাঘাত ও শারীরিক মারধর মুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। উন্নত শীরয়াহ ও তাকওয়া ভিত্তিক আবাসন ও খাবার ব্যাবস্থা।
৭. ছোটকাল থেকেই তালীম-তরবিয়তের সাথে বিশ্বমানের দাঈ হিসেবে গড়ে তোলার বাস্তবমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করা এবং আমানতের সাথে ছাত্র ও শিক্ষকের জান, মাল ও সময়ের সহীহ ব্যবহার শিক্ষা দেওয়া।
৮. মাদরাসা সম্পূর্ণ রাজনীতির প্রভাব থেকে মুক্ত থাকবে।আদর্শ নাগরিক তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করা। দেশের সকল আইনের প্রতি যত্নবান ও শ্রদ্ধাশীল থাকা। দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধকরণ ও মাতৃভূমির অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে ছাত্রদের গড়ে তোলা।
৯. ছোটকাল থেকেই ছাত্রদেরকে আল্লাহমুখী হয়ে পথচলার বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া। মাখলুকের দ্বারস্থ হওয়া ও চাঁদা সংগ্রহের মনোভাব থেকে শিক্ষার্থীদের নিরুৎসাহিত করা।সদকা, জাকাত ফিতরা ও কালেকশন মুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
১০. মিছিল-মিটিং সহ কোন রাজনৈতিক কর্মসূচিতে ছাত্র-শিক্ষকদের ব্যবহার না করা। শিক্ষা, গবেষণা, দাওয়াহ ও ঈমানী কার্যক্রমে সীমাবদ্ধ থাকা।
১১.কারিগরি শিক্ষার মাধ্যমে কর্মট ও দক্ষ আলেম জনশক্তি তৈরী করা। যারা দাওয়া তালিম তিজারাত নিয়ে উমম্মতের ময়দানে চলতে পারবেন।
১২. দেওবন্দিয়তের উপর পূর্ণ আস্থা রেখে দারুল উলূম দেওবন্দের মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য তথা সাহাবা-আদর্শের দিকে ফিরে যাওয়া।