অভিভাবকদের কার্যক্রম
ক) বছরে কমপক্ষে দুটি অভিভাবক জোড়ে অভিভাকগন উপস্থিত থাকতে হবে
খ) অভিভাবক জেড়ে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় একজন অভিভাবক কিভাবে সাহায্য করবেন, তার রূপরেখা দিয়া হবে।
গ) জামিয়ার কর্তৃপক্ষ অবশ্যই প্রত্যেক অভিভাবককে মূল্যায়ণ, উত্তম সম্ভাষণ ও হুসনে আখলাকের সাথে ইলমে দ্বীন ও দাওয়াহ ইলাল্লাহর প্রতি আগ্রহী করে তুলবেন।।
ঘ) অভিভাবকগণ অবশ্যই নিজ সন্তানকে ‘উম্মাহ দরদী’ মাক্ববুল আলেম ও দাঈ হিসেবে গড়ে তুলতে চাইলে তাকে নিজের হালাল উপার্জন থেকে জান-মাল ব্যয় করে দ্বীনী ইলম শেখাতে হবে। যথাসম্ভব সদকা, যাকাত, ফেতরা ও সন্দেহযুক্ত খাদ্য থেকে নিজ সন্তানকে অত্যন্ত সতর্কতার সাথে পরহেজ করাতে হবে।
ঙ) অভিভাবকগন কীভাবে বাসাকে মাদরাসার মতো দ্বীনী পরিবেশ কায়েম করবেন সে বিষয়ে প্রয়েজনীয় তরগিব ও রূপরেখা দেয়া হবে।
চ) বার্ষিক ছুটিতে শিক্ষার্থীদের সাথে অভিভাবকগনকে চিল্লার জন্য তাশকিল করা হবে।
অভিভাবকের জ্ঞাতব্য
- ১. প্রত্যেক অভিভাবকের মাসে ১ বার হলেও কর্তৃপক্ষের সাথে সাক্ষাৎ জরুরি।
- ২. প্রত্যেক অভিভাবককে মাসিক প্রদেয় প্রতি ইংরেজি মাসের ৭ তারিখের মধ্যে অবশ্যই প্রদান করতে হবে।
- ৩. কোনো ছাত্র কোনো মাসের কিছুদিন বা অধিকাংশ দিন অনুপস্থিত থাকলে এর জন্য মাসিক প্রদেয় থেকে কোনো টাকা ফেরত দেয়া হয় না।
- ৪. উল্লেখিত মাসিক প্রদেয় খাবার, আবাসিক চার্জ ও বেতন বাবদ নেয়া অর্থের বাইরের যে কোনো খরচ অভিভাবককে বহন করতে হবে।
- ৫. বিশেষ কোনো সমস্যা না থাকলে আর্থিক লেনদেন অভিভাবককেই করতে হবে।
- ৬.ভর্তির পর তা বাতিল করতে চাইলে ভর্তিসংক্রান্ত কোনো টাকা ফেরত দেয়া হবে না।
- ৭.মাদরাসা কর্তৃপক্ষ ছাত্রের সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করে, তা সত্ত্বেও কোনো ছাত্র পালালে কিংবা কোনো দুর্ঘটনায় পড়লে কর্তৃপক্ষকে দায়ী করা যাবে না।