আমলী মশকের পদ্ধতি

  • সর্বশেষ আপডেট হয়েছে: ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২২

আমলি মশকের পদ্ধতি :
সাহাবাদের মাঝে খুব বেশি ভাষা জ্ঞানের যোগ্যতা ছিল না। তারা বলতেন, ‘আমাদের মতো হয়ে যাও, এটিই ইসলাম’। জামেয়া কাশিফুল উলুমের সকল ছাত্রের মাঝে এমন একটি আমলি পরিবেশ থাকবে যা প্রথম দেখাতেই যে কেউ মুতাআচ্ছির বা প্রভাবিত হয়ে যাবে যে, দ্বীন এমনি। নববী ধারার আখলাক ও তরবিয়ত এটিই। যেসব আমলি মশক থাকবে ইনশাআল্লাহ তা হলো-
    ছাত্রদের নিয়মিত আমলি হাজিরা নেয়া হবে। 
    শেষ রাতে তাহাজ্জুদের সময় হাজিরা হবে। 
    এশরাক, আওয়াবিন, তিন তাসবিহ, কুরআন তেলাওয়াত ইত্যাদি বিষয়ে আমলি হাজিরা হবে।
     ছাত্রদের মাসিক-বার্ষিক আমল ও সুন্নতের পাবন্দীর উপর পুরস্কৃত করা হবে। 
    আমলের নিগরানীর জন্য উস্তাদদের আলাদা আলাদা তরতিব থাকবে । 
    সকল ছাত্র-শিক্ষকের সুন্নতি পোষাক-লেবাস, মেসওয়াকের ইহতেমাম করতে হবে। 
    মাগরিবের আগে ও ফজরের সুন্নতের পর ফরজের আগে সকল ছাত্র তার মামুলাত আদায় করে নিবে। 
    অবশ্যই সকাল-বিকাল জিকির ও তাসবিহাত পুরা করতে হবে। 
    চল্লিশ দিন তাকবিরে উলার উপর নিয়মিত পুরস্কার প্রদান করা হবে। 
    ফজরের আগে উঠে বাধ্যতামূলক তাহাজ্জুদ, কুরআন তেলাওয়াত ও দুআর ইহতেমাম করতে হবে। 
    আমলে কোন ছাড় দেয়া হবে না। কারণ এটি তার দরসের অংশ। 
    আমলের সময়ে রুমে রুমে হাজিরা হবে। 
    ফজরের নামাজের পরে প্রতিদিন ঈমানী মোজাকারা ও সূরা ইয়াসিন তেলাওয়াত করতে হবে। 
    সকল ছাত্র ইশরাকের নামাজ পড়ে শরীর চর্চায় অংশগ্রহণ করে নাস্তার পর সবক শুরু হবে ইনশাআল্লাহ। 
    দুপুরে কায়লুলার সুন্নত আমল হবে। 
    যোহরের নামাজের পর ফাজায়েলের তা‘লীম ইহতেমামের সাথে পুরা করতে হবে। 
    বাদ আছর তরবিয়তি মজলিসের পর মাশওয়ারায় বসবে। 
    বাদ মাগরিব আওয়াবিন ও সূরা ওয়াকিয়া পড়ে দরসে আসবে। 
    রাতের খাবার খেয়ে ইশার নামাজ হবে। বাদ ইশা হায়াতুস সাহাবার দরস হবে।
    সূরা মুলক, আলিফ-লাম-সেজদা ও রাতের আমল পুরা করে বিছানায় আসবে। 
(এটি একটি প্রাথমিক আমলি পরিকল্পনা, এটি আরো মাশওয়ারা করে সাজানো হবে ইনশাআল্লাহ)