দাওয়াত ও ঈমানী কার্যক্রম

  • সর্বশেষ আপডেট হয়েছে: ০২ মার্চ, ২০২২

আমাদের দেশে মাদরাসাগুলোতে দাওয়াতের কাজের সীমাহীন অবহেলা করা হয়ে থাকে। মনে করা হয়, এখন ইলম শিখার যমানা। পড়ালেখা শেষ করে দাওয়াতের কাজ করবে। কিন্তু তা আর সেভাবে হয়ে উঠে না। বরং ছাত্র যমানা থেকে বাস্তবে দাওয়াতের আমলে জড়িত হলে এটি তার ইলমে দ্বীন শিখার মূল উদ্দেশ্য হতো। দাওয়াতের ফিকির না করায় উম্মতের হেদায়াত আর ফিকির গালেব হচ্ছে না ছাত্র জীবন থেকে। একারণে আমরা এবিষয়ে বিশেষ দৃষ্টি দিব। যেমন-
    ছাত্ররা রোজানা ঈমানী হালকা কায়েম করবে। 
    রোজানা মাশওয়ারা করবে। 
    প্রতিটি ক্লাসের ছাত্র একজন আমীরের তত্ত্বাবধানে চলবে। 
    ছোট ছাত্ররা নিজেদের মাহলে দাওয়াত ও ঈমানী কথা শিখবে।
    বড় ছাত্ররা রোজানা বাদ আছর কিছু সময় আওয়ামদের উপর দাওয়াতের মেহনত করবে। 
    মহল্লার মসজিদরে সকল দাওয়াতি আমলে ছাত্ররা শরীক হয়ে মসজিদ ভিত্তিক মেহনত শিখবে।
    প্রতিদিন এহতেমামের সাথে ফাজায়েলের তা‘লীম পুরা করবে। 
    আধাঘণ্টা থেকে ৪৫ মিনিট তা‘লীমে বসা ঐচ্ছিক বিষয় নয়, বরং এটি তার দরস ও সিলেবাসের অংশ হবে। 
    শ্রেণী ভিত্তিক হায়াতুস সাহাবার দরস হবে। 
    প্রতি সপ্তাহে জুমআরাতে বড় ছাত্ররা মারকাজের সবগুজারীতে যাবে। 
    ছোট ছাত্ররা মাদরাসায় সবগুজারীর আমল করবে। 
    মাসে ৩ দিন উস্তাদসহ ছাত্ররা আল্লাহর রাস্তায় যাবে। 
    ২৭ দিন মাদরাসায় দরস নিবে, তিনদিন আল্লাহর রাস্তায় দাওয়াতের বাস্তব ময়দানে আমল শিখবে। 
    দাওয়াতের কাজ এটি ছাত্রদের জন্য বাধ্যতামূলক। তার রিপার্ট ও বার্ষিক ফলাফলের অংশ হবে এটি। 
    ছুটিতে ছাত্ররা ১০ দিন করে সফরে বের হবে। 
    তিনটি পরীক্ষা ও দুই ঈদের ছুটিতে ছাত্ররা সফর করবে। 
    ছাত্ররা ৮ মাস পড়ালেখা করে যোগ্যতা হাসিল করবে আর চারমাস সফর করে ইলমকে বাস্তব ময়দানে প্রয়োগ করবে। 
    মাদরাসা থেকে ছাত্র-শিক্ষকদের জামাত নিয়মিত দাওয়াতি ও ইলমি সফরে যাবে। 

বছর শুরু থকেে ধারাবাহকিভাবে এককে জামাত আল্লাহর রাস্তায় সফর করব। এক জামাত মাদরাসায় ফিরার পর পর্রবতি জামাাত চল্লিার সফরে যাবে। এক জমাতে ৫জন করে ছাত্র ও বাকি সাধারন ছাত্র থাকব। এত করে হযরতজী মাওলানা ইলয়িাস রহ এর ইচ্ছে যে ছলি “আমি চাই  প্রত্যকেে জামাতে একজন কারী ও আলমে থাকবে এটি পুরা হব। এভাবে সারা বছর ছাত্র শক্ষিকদরে জামাত আল্লাহর রাস্তায় সফর করব।

মাদরসার উমুমি মেহনত:
ছাত্রদের পড়ানোর পাশাপাশি আমরা মাদরাসার মহল্লা ও আশপাশ এলাকার মানুষের মাঝে ঈমানী দাওয়াতি মেহনতকে নিজেদের মাদরাসার মৌলক কাজ হিসেবে সংশ্লিষ্ট করব। ছাত্রদের পাশাপাশি আম জনগণ যেন মাদরাসার দ্বারা ব্যাপকভাবে দ্বীনী ও শরীয়তের দিকে আগে বাড়তে পারেন। এতে করে ছাত্রদের মাঝে উম্মতের হালত ও দাওয়াতি ফিকির ও মেহনত তাজা হবে। এবং উম্মতের ব্যাথা ও দরদ তার দীলের ভিতর ছোটবেলা থেকেই প্রভাব তৈরী করবে। সাধারন মুসলমানকে নিয়ে চলার যোগ্যতায় একজন তালেবে ইলম পারর্দশী হয়ে উঠবে।  তিন দিন চিল্লা ও সালের সফরের মাধ্যমে সারাদেশ ও গোটা বিশ্বে ইলমে ওহির এই নুরকেছড়িয়ে দেয়াই হবে আমাদের মাদরাসার মূল লক্ষ্য।

দাঈদের নিগরানী ও তরবিয়ত:
মাদরাসায় কেবল মাওলানা মুফতী নয়,বরং নবীর ওয়ারিস,ওলামায় হক্কানী বানানোর নিমিত্তে তালীম এবং তবলীগ, উভয়টিকে সমান গুরুত্ব দিয়ে উভয়টির জন্য সময় এবং সূচি নির্ধারিত থাকবে । দাওয়াত এবং দাঈর তত্বাবধানে চলবে মাদরাসা। নির্বাচিত সাথী, যার মধ্যে দাওয়াতের ফিকির গালেব এবং মাদরাসার মেজাজও বুঝে, এমন সাথী প্রতিদিন একজন রাতে এস মাদরাসায় থাকবেন। ছাত্রদের রাতের আমল ও দোয়া কান্নাকাটির সাথে জড়িত হবেন আর বাদ ফজর তোলাবাদের নিয়ে ঈমানী কথা বলবেন।এছাড়া বড় মুবাল্লিাগ ফিকর ও আমলওয়ালা আহলে ইলম সাথী  অন্তত সাপ্তাহে একবার তলাবাদের সামনে অল্পসময় বয়ান করবেন। পারলে হালকা আপ্যায়নও হবে ছাত্রদের, যাতে তোলাবারা অধীর আগ্রহে সে দিনটির অপেক্ষায় থাকে।
এর সাথে সাথে একাধিক এমন জেনারেল সাবজেক্টের দাঈ শিক্ষক নিয়োগ থাকবেন ,যারা ইতাআতে পরিপক্ব, সুদক্ষ এবং বাচ্চাদের দাওয়াতের জেহেন বানাতে পারে। এছাড়া প্রতিদিন মুবাল্লিগ চিকিৎসকরা রুটিন অনুযায়ী মাদরাসায় আসবেন ছাত্রদের দৈহিক ও মানসিক বিকাশ ও মননচর্চায় গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করবেন। মাদরাসার দারওয়ান, বাবুর্সি থেকে শুরু করে সকল উস্তাদ তাবলীগের সময় শুধু লাগানেওয়ালা নয়, সময় দেনেওয়ালা সাথী হতে হবে। মাশওয়ারা করে সবাই রোজানা দাওয়াতের ময়দানে সময় দিবেন এব নিজ নিজ নেসাবের উপর চলবেন।